Headline :
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণ এবং হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিয়াম’কে ফেনী জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ীয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত রাজধানীর গুলশান এলাকায় নৃশংসভাবে গলা কেটে ০২ জনকে হত্যাকান্ডের মূল আসামি রুমনকে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর-পশ্চিম) বিভাগ কর্তৃক একটি লোহার তৈরি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার। ফটিকছড়ি সাংবাদিক পরিষদ-চট্টগ্রাম এর কমিটি গঠিত চট্টগ্রামে সুপারশপে মিলল নানা অসঙ্গতিঃ লক্ষ টাকার জরিমানা অদ্য ০১/১০/২৪খ্রি. মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ থেকে দুপুর ১.০০ পর্যন্ত সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিআরটিএ, চট্টগ্রাম সিএমপির সদরঘাট থানার অভিযানে দুইজন ঢাকাত গ্রেফতার মিয়ানমার থেকে ৮৫ বাংলাদেশি ফিরলেন: ফেরত গেলেন ১২৩ বিজিপি-সেনা সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত মিরসরাই গড়তে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে- নুরুল আমিন চেয়ারম্যান
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

হরিরামপুরে ৪ বছরেও পাকেনি দেড় কি.মি. রাস্তা পাকা করণের কাজ

Fahad / ৩১ Time View
Update : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের নয়াবাজার থেকে ডেগিরচর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের দেড় বছরের কাজ চার বছরে ও শেষ হয়নি অর্ধেক। প্রায় ৩ বছরের অধিক সময় ধরে রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী। কাজের শুরুতে মাটি খুঁড়ে বক্স করে নামেমাত্র কিছু বালু ফেলে রাখা হয়। বক্স করার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই যানবাহন তো দুরের কথা, পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা।
এমন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

পথচারী নীলচান বলেন বাবারে বাঁচবো আর কয়দিন এই রাস্তা ভালো হতেদেখে যেতে পারবো কিনা সন্দেহ.

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০/২১ অর্থ বছরে জিডিবি-৩ প্রকল্পের আওতায় বাহাদুরপুর সড়কের নয়াবাজার থেকে ডেগিরচর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তার পীচ ঢালাইয়ের জন্য ২০২০ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ২৮১ টাকা দরে, কাজটি পায় মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

পরে ২০২১ সালের মার্চ মাসে রাস্তাটির কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু তিন বছরে শুধুমাত্র রাস্তা খুঁড়ে বক্স করে কিছু কিছু স্থানে বালু ফেলে রাখা হয়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাস্তাটির কাজ বন্ধ রাখা হয়।

সরেজিমনে গেলে একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, রাস্তাটি প্রায় তিন বছর আগে মাটি খুঁড়ে রাখায় এ রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহনই চলাচল করতে পারছে না। একটু বৃষ্টি হলেই কোথাও কোথাও পানি জমে কাঁদার সৃষ্টি হয়। এতে করে মানুষের পায়ে হাঁটাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্যসহ কোনো মালামালই আনা নেয়া করা যাচ্ছেনা। ফলে এ এলাকার কৃষকেরা কৃষিপণ্য নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। কেউ অসুস্থ হয়ে জরুরীভাবে তাকে হাসপাতালে নেয়া নিয়েও পড়তে হয় বিপদে। এছাড়াও একটু বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে দুটি বিদ্যালয়ের প্রায় ৫ শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়।

ইজিবাইক চালক রোমান বলেন, এই রাস্তাটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ খুঁড়ে ফেলে রাখছে। আমরা মালামাল নিয়ে গাড়ি চালাতে পারি না। গতকাল ১০-১২ মন ভূট্টা নিয়ে আমার গাড়ি উল্টে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই আমরা যাতায়াত করতে পারি না। অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।

ডেগিরচর গ্রামের বাসিন্দা আরজু প্রামানিক বলেন, আমাদের এই রাস্তাটা অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু চার বছর ধরে রাস্তাটি এভাবে পড়ে আছে। কাজ বন্ধ করে রাখছে। এ রাস্তা দিয়ে কৃষকেরা কৃষিপণ্য নিয়ে হাটে বাজারে যেতে পারে না। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পানি জমে য়ায়। তখন গাড়ি তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেই চলাচল করা যায় না। আমাদের এই রাস্তার বেহাল দশা দেখারও কেউ নেই।

একই গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুল বারেক জানান, এই রাস্তা দিয়ে ভ্যানে করে মাল নেয়ার সময় ভ্যান উল্টে আমার হাত ভেঙে গেছে। আজ আমি পঙ্গু। তিন বছরের বেশি হইল এই রাস্তা দিয়ে হাজার মানুষ অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করছে। রাত বেরাত রোগী নিয়েও বিপদে পড়তে হয়। কোনো গাড়ি আসতে পারে না।

গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন জানান, তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তাটি খুঁড়ে কাজ বন্ধ রয়েছে। রাস্তা খুঁড়ে রাখায় একটু বৃষ্টি হলেই মানুষের চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভ্যান, রিক্সা কিংবা নসিমনে এই এলাকার কৃষিপণ্যও হাট বাজারে নেয়া যায় না। রাস্তাটি নিয়ে এই এলাকার জনগণ খুব ভোগান্তিতে আছে। রাস্তাটি এখন এলাকার জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২/৩ দিন আগে যেখানে যেখানে জলাবদ্ধতা হয়, সেখানে নিজে কিছু বালু ফেলে দিছি। রাস্তাটি কেন যে এভাবে পড়ে আছে তাই বুঝলাম না।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মাজহারুল হক আকন্দ জানান, আগের টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন জেলা থেকে টেন্ডার দিলে কাজ শুরু হয়ে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Recent Posts

Recent Comments

No comments to show.